ব্যাক ফায়ার- প্যাস ওয়েল্ডিং করার সময় টর্চের টিপে উচ্চ শব্দ করে শিখা সাময়িক ভাবে নিচে আবার জ্বলে। একে ব্যাক ফারার বলে।
ফ্লাশ ব্যাক- গ্যাস ওয়েন্ডিং করার সময় ওয়েল্ডং টর্চের টিপ অথবা হোজ পাইপের ভেতরে শিখার অন্তর্মুখী প্রজ্বলনকে ফ্লাশ ব্যাক (Flash Back) বলা হয় । এতে অনেক সময় ফোঁস ফোঁস কিংবা একটানা চিঠি শব্দ সহযোগে ধোঁয়াযুক্ত ছোট খাট শিখার সৃষ্টি হয়।
ফ্লাশ ব্যাক হওয়ার কারণ- ময়লা যুক্ত গ্যাস প্রবাহের লাইন, অনুপোযুক্ত প্রেশার, বিকৃত বা টিলা টিপ, টিলা টর্চ, মোচড়ানো হোঙ্গ পাইপ, টিপের ছিদ্র পথে ময়লা, টিপের অতিরিক্ত উত্তপ্ত অবস্থা ইত্যাদির কারণে ক্লাশ ব্যাক হয়।
ফ্লাশ ব্যাক এর প্রতিকার- ফ্লাশ ব্যাক মূলত ব্যবহৃত সরঞ্জামের কোন না কোন মৌলিক ত্রুটির কারণে সংঘটিত হয়। ফ্লাশ ব্যাক নিরসনের জন্য সরঞ্জামগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষন এবং সে সঙ্গে কাজ শুরু করার আগে দক্ষ কারিগর দিয়ে ভালভাবে পরীক্ষা করে নেয়া আবশ্যক। এছাড়াও ফ্লাশ ব্যাক প্রতিরোধের জন্য ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার ব্যবহার করা হয়।
ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার- ফ্লাশ ব্যাক এক ধরনের বিপদজনক ঘটনা। এটি রেগুলেটরকে অকেজো করে দিতে পারে। তাই রেগুলেটরকে ক্লাশ ব্যাকের দূর্ঘটনা হতে রক্ষা করার জন্য এক বিশেষ ধরনের বস্ত্র ব্যবহার হয়, তাকে ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার (Flash Back Arrestor) বলে। এই ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাশ ব্যাক রোধ করে।
ব্যাক ফারার হওয়ার কারণ-
১. টর্চের টি ওয়ার্ক পিসের বেশি কাছে আসলে
২. টিপের ছিদ্রপথে কোন কিছু প্রবেশ করে গ্যাস প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি করলে
৩.টিল যদি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়
৪. আভার সাইজ টিপ ব্যবহার করলে
ব্যাক ফায়ারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
১. টর্চের টিপ ওয়ার্ক পিস থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বজায় রাখা
২.টিপের ছিদ্রে যাতে কোন ময়লা প্রবেশ না করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা
৩. টিপ উত্তপ্ত হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে আবার ওয়েল্ডিং করা
৪. সঠিক সাইজের টিপ ব্যবহার করা।
গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের আগে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং সাবধাণতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেফটি ইকুইপমেন্টগুলো হাতের নাগালে রাখতে হবে । বন্ধ বা উত্তপ্ত স্থানে গ্যাস ওয়েন্ডিং সিলিন্ডার রাখা বা ওয়েল্ডিং করা যাবে না। গ্যাস ওয়েন্ডিং সেট একত্রিত করার সময় নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে-
আরও দেখুন...